জামাতকে নিষিদ্ধ করা সরকারের ১ ঘন্টারও কাজ না। কিন্তু আওয়ামি লীগ জামাতকে নিষিদ্ধ করতে কালক্ষেপন করছে। কারন, নিষিদ্ধ করলে জামাতের সমর্থকরা বিএনপিতে চলে আসবে। এখন যেসব হরতাল হয়, তাতে যারা পিকেটিং করছে তাদের অধিকাংশই জামাতের কর্মী। আর জামাত - বিএনপি জোট ভাঙ্গতে পারলে বিএনপির আন্দোলন করার শক্তিই থাকবে না। বিএনপি রাজনৈতিক ভাবে বিকলাঙ্গ হবে ও আওয়ামী লীগ একক প্রধান রাজনৈতিক দল হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হবে।
জামাত কখনোই একা থাকেনা। বিনপি-জামাত জোট ভাঙ্গলেই আমলিগ-জামাত গঠিত হবে। অতিতেও হয়েছে। কিন্তু জামাতকে নিষিদ্ধ করলে এই পরিকল্পনা সফল হবে না, জামাতের সমর্থকরা বিএনপিতে যোগ দেবে।
কোন ভাবে আওয়ামী লীগ সরকার জামাতকে নিষিদ্ধ না করেই বিএনপি ও জামাতকে আলাদা করতে সক্ষম হয়, তাহলে আওয়ামী লীগ জামাতকে কাজে লাগিয়ে বিএনপি কে ধংস করার সুযোগ পাবে।
আওয়ামি লীগ বলছে, জামাত থাকলে বিএনপির সাথে আলোচনা হবে না। যদিও তত্যাবধায়ক সরকারের দাবিতে ৯৬ সালে আওয়ামী লীগ লাগাতার ১ মাস দেশ অচল করে রেখে ছিলো, জামাতের শক্তির সহায়তা নিয়েই করেছিলো!! আর জামাতকে নিষিদ্ধ করা সরকারের ১ ঘন্টারও কাজ না, দরকার শেষ হওয়া মাত্র জামাতকে নিষিদ্ধ করা যাবে। তখন আর বাকশাল লাগবে না, এমনিতেই দেশে একটি মাত্র দল, আওয়ামী লীগ থাকবে।