মুসলমান লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
মুসলমান লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

৩১ জুলাই, ২০১৩

মুসলমান জাতির পিতা কে? বেহেস্ত কি একা মুসলমানদের জন্য?

অনেকেই মুসলমান জাতির পিতা কে তা নিয়ে প্রশ্ন করেন তাদের জন্য:
(সূরা হজ্জ ৭৮) : - তোমরা আল্লাহর জন্যে শ্রম স্বীকার কর যেভাবে শ্রম স্বীকার করা উচিত। তিনি তোমাদেরকে পছন্দ করেছেন এবং ধর্মের ব্যাপারে তোমাদের উপর কোন সংকীর্ণতা রাখেননি। তোমরা তোমাদের পিতা ইব্রাহীমের ধর্মে কায়েম থাক। তিনিই তোমাদের নাম মুসলমান রেখেছেন পূর্বেও এবং এই কোরআনেও, যাতে রসূল তোমাদের জন্যে সাক্ষ্যদাতা এবং তোমরা সাক্ষ্যদাতা হও মানবমন্ডলির জন্যে। সুতরাং তোমরা নামায কায়েম কর, যাকাত দাও এবং আল্লাহকে শক্তভাবে ধারণ কর। তিনিই তোমাদের মালিক। অতএব তিনি কত উত্তম মালিক এবং কত উত্তম সাহায্যকারী।
وَجَاهِدُوا فِي اللَّهِ حَقَّ جِهَادِهِ ۚ هُوَ اجْتَبَاكُمْ وَمَا جَعَلَ عَلَيْكُمْ فِي الدِّينِ مِنْ حَرَجٍ ۚ مِّلَّةَ أَبِيكُمْ إِبْرَاهِيمَ ۚ هُوَ سَمَّاكُمُ الْمُسْلِمِينَ مِن قَبْلُ وَفِي هَٰذَا لِيَكُونَ الرَّسُولُ شَهِيدًا عَلَيْكُمْ وَتَكُونُوا شُهَدَاءَ عَلَى النَّاسِ ۚ فَأَقِيمُوا الصَّلَاةَ وَآتُوا الزَّكَاةَ وَاعْتَصِمُوا بِاللَّهِ هُوَ مَوْلَاكُمْ ۖ فَنِعْمَ الْمَوْلَىٰ وَنِعْمَ النَّصِيرُ [٢٢:٧٨] (সেজদা)

বেহেস্ত কি একা মুসলমানদের জন্য?

কোন কাজ করার ৩ টি কারন থাকতে পারে।
১- নিজের আনন্দের জন্য,
২- অবস্থার প্রেক্ষিতে,
৩- কোন প্রভুর সন্তষ্টির জন্য।
কাজটা ভাল কিছু হলে
- নিজের আনন্দের জন্য করে থাকলে আনন্দটাই আপনার কাজের পুরষ্কার, পরকালে প্রতিদান আশা করার কোন কারন নাই।
যেমনঃ কোন দুর্যোগের খবর শুনে নিজের মনের সান্তনা দেয়ার জন্য সাহায্য পাঠালেন।
- অবস্থার প্রেক্ষিতে করে থাকলেও পরকালে প্রতিদান আশা করতে পারেন না। তারপরও প্রভু পুরস্কৃত করতেই পারেন।
যেমনঃ কোন দুর্যোগের খবর শুনলেন তারপর অফিস থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া হল সবার ১ দিনের বেতন দুর্গতদের দেয়া হবে।
- কোন প্রভুর সন্তষ্টির জন্য করে থাকলে প্রতিদান আশা করতে পারেন। এখন দেখতে হবে আপনি কোন প্রভুর সন্তষ্টির জন্য কাজ টি করেছেন।
১। আপনি দুর্যোগের খবর শুনে মানুষ প্রভু যেমন প্রধানমন্ত্রীকে খুশি করতে ১ দিনের বেতন দুর্গতদের দিয়ে স্রস্টার সন্তষ্টি আশা করতে পারেন না। বরং স্রস্টাকে খুশি করতে ১ দিনের বেতন দুর্গতদের দিলে একই সাথে প্রধানমন্ত্রীও সন্তষ্ট হতে পারে।
২। ঈশ্বর প্রভুর সন্তষ্টির জন্য করে থাকলেও প্রশ্ন থাকবে যে আপনি প্রকৃত ঈশ্বরের জন্য করেছেন কি না।
যেমনঃ আপনি “ক” এর রাজ্যে বাস করেন আর বলেন “খ” এর জন্য কাজ করেন। তাহলে আশা করা যায় যে আচিরেই “ক” আপনার খোঁজে পেয়াদা পাঠাবে।

স্রষ্টাকে খুশি করতে কোন খারাপ কাজ করলে?
আপনাকে বুঝতে হবে যে খারাপ কাজের ফলে স্রষ্টার-ই কোন বান্দার ক্ষতি হচ্ছে, ফেলে আপনি যে জন্যই করেন না কেন স্রষ্টার খুশি হওয়ার কোন কারন নাই।
যেমনঃ আপনার কোন ভাইকে আপনার বাবা অপছন্দ করেন, তাই বলে আপনি ঐ ভাইয়ের কোন ক্ষতি করলে আপনার বাবা আপনার উপর সন্তষ্ট তো হবেন ই না উল্টো আপনার উপরও রাগ করবেন।

মুসলিম শব্দের অর্থ আত্নসর্মপনকারী, এটি সালাম অর্থাৎ শান্তি ও নিরাপত্তা বিধান করা থেকে এসেছে। কোরআনে বলা হয়েছে : -
সুরা-বাকারা আয়াত ১৭৭ঃ لَّيْسَ الْبِرَّ أَن تُوَلُّوا وُجُوهَكُمْ قِبَلَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ وَلَٰكِنَّ الْبِرَّ مَنْ آمَنَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ وَالْمَلَائِكَةِ وَالْكِتَابِ وَالنَّبِيِّينَ وَآتَى الْمَالَ عَلَىٰ حُبِّهِ ذَوِي الْقُرْبَىٰ وَالْيَتَامَىٰ وَالْمَسَاكِينَ وَابْنَ السَّبِيلِ وَالسَّائِلِينَ وَفِي الرِّقَابِ وَأَقَامَ الصَّلَاةَ وَآتَى الزَّكَاةَ وَالْمُوفُونَ بِعَهْدِهِمْ إِذَا عَاهَدُوا ۖ وَالصَّابِرِينَ فِي الْبَأْسَاءِ وَالضَّرَّاءِ وَحِينَ الْبَأْسِ ۗ أُولَٰئِكَ الَّذِينَ صَدَقُوا ۖ وَأُولَٰئِكَ هُمُ الْمُتَّقُونَ সৎকর্ম শুধু এই নয় যে, পূর্ব কিংবা পশ্চিমদিকে মুখ করবে, বরং বড় সৎকাজ হল এই যে, ঈমান আনবে আল্লাহর উপর কিয়ামত দিবসের উপর, ফেরেশতাদের উপর এবং সমস্ত নবী-রসূলগণের উপর, আর সম্পদ ব্যয় করবে তাঁরই মহব্বতে আত্নীয়-স্বজন, এতীম-মিসকীন, মুসাফির-ভিক্ষুক ও মুক্তিকামী ক্রীতদাসদের জন্যে। আর যারা নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত দান করে এবং যারা কৃত প্রতিজ্ঞা সম্পাদনকারী এবং অভাবে, রোগে-শোকে ও যুদ্ধের সময় ধৈর্য্য ধারণকারী তারাই হল সত্যাশ্রয়ী, আর তারাই পরহেযগার।
সুরা-বাকারা আয়াত ৬২ঃ إِنَّ الَّذِينَ آمَنُوا وَالَّذِينَ هَادُوا وَالنَّصَارَىٰ وَالصَّابِئِينَ مَنْ آمَنَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ وَعَمِلَ صَالِحًا فَلَهُمْ أَجْرُهُمْ عِندَ رَبِّهِمْ وَلَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُونَ [٢:٦٢]
নিঃসন্দেহে যারা মুসলমান হয়েছে এবং যারা ইহুদী, নাসারা ও সাবেঈন, (তাদের মধ্য থেকে) যারা ঈমান এনেছে আল্লাহর প্রতি ও কিয়ামত দিবসের প্রতি এবং সৎকাজ করেছে, তাদের জন্য রয়েছে তার সওয়াব তাদের পালনকর্তার কাছে। আর তাদের কোনই ভয়-ভীতি নেই, তারা দুঃখিতও হবে না।

মুহাম্মদ ইবনুন মুসান্না (র)…আনাস ইবনে মালিক (রাঃ)থেকে বর্নিত, নবী করীম (সাঃ) ইরশাদ করেনঃ তিনটি গুণ যার মধ্য থাকে সে ঈমানের স্বাদ পায়।
১.আল্লাহ ও তার রাসূল তার কাছে অন্য সব কিছু হতে প্রিয় হওয়া।
২. কাউকে খালিস আল্লাহর জন্যই মুহব্বত করা।
৩. কূফরীতে ফিরে যাওয়াকে আগুনে নিক্ষিপ্ত হওয়ার মত অপছন্দ করা। (সহীহ বুখারী হাদীস নং ১৫ ঈমান অধ্যায়।)

আমরা কি আসলেই প্রকৃত মুসলিম হতে পেরেছি? না-কি জুম্মাবারে মসজিদে হাজিরা আর কুরবানীর গরুর মাংস খাওয়ার দাবীদার মুসলিম?

১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

ইসলাম নিয়ে পুরনো কিছু হাসির গল্প তবে কৌতুক নয়।

Most beautiful flower
১- জাহেল পীর
এক জাহেল পীরের মুরীদ বললো, হুযুর, গত রাত্রে আমি স্বপ্নে দেখেছি যেন আপনার হাত একঢি মধুর পাত্রে ড়ৃবানো রয়েছে আর আমার হাত একঢি পায়খানা ভর্তি পাত্রের মধ্যে ড়ূবানো আছে।
এতটূকূ বলা হতে না হতেই পীর সাহেব আনন্দের আতিশয্যে থাকতে না পেরে বলে উঠলো, হবে না? এইরূপই তো হবে! তূই যে ণ্ডনাহগার দুনিয়ার কূকূর তাই তোর হাত নাপাক পাত্রে ড়ূবানো থাকবে । আর আমি যে-বূষূর্গ আল্লাহ্বর ওলী তাই আমার হাত মধুর পাত্রে ড়ূবানো থাকে।
মূরীদ বললো, হুযুর বলা এখনও শেষ হয়নি তারপর দেখি আপনার হাতের আঙ্গুল আমি চাটছি, আর আমারু হাতের আঙ্গূল আপনি চাটছেন। এই শুনে পীর সাহেব রেগে মেগে মুরীদকে যা- ইচ্ছা তাই বলে গালাগালি করতে লাগলো।

২- জুতা চোর
শিয়া আলেমগন সুন্নি আলেমদের চ্যালেঞ্জ করেছেন। বিরাট বিতর্ক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হল। চারদিকে অসংখ্য শিয়া ও সুন্নী জনতা। কিন্তু কোন সুন্নি আলেমের দেখা নাই।
সুন্নী জনতা লজ্জায় মাথা নত করে রইলো। শিয়া আলেমগন একতরফা ভাবে নিজেদের বিজয়ী ঘোষনা করে অনুষ্ঠান শেষ করার উদ্যোগ নিলো।
এমন সময় দেখা গেল একজন লোক জনতার পেছন থেকে নীল লুঙ্গি, সাদা টুপি ও মার্কিন কোর্তা গায়ে দিয়ে মঞ্চের দিকে এগিয়া আসছেন। ইনিই মওলানা কাসেম(রঃ )। সবার দৃষ্টি মওলানা কাসেম(রঃ ) –এর দিকে। মওলানা সাহেব পায়ের জুতা বগলে চেপে রেখেছেন।
সবাই বললো, “হুজুর জুতা জোড়া এক পাশে রেখে দেন”।
মওলানা সাহেব বললেন “না, এখানে জুতা রাখা যাবে না। শিয়ারা জুতা চুরি করে।“
শিয়া আলেমগন অবাক ও উত্তেজিত হয়ে বললেন, “কোথায় দেখেছেন শিয়াদের জুতা চুরি করতে? কি প্রমান আছে আপনার কাছে?”
মওলানা সাহেবঃ কেন রাসুলুল্লাহ (সাঃ ) এর মজলিস থেকে একজন শিয়া ব্যক্তি জুতা চুরি করেছিলেন।
শিয়া আলেমগনঃ কি বলেন! রাসুলুল্লাহ (সাঃ ) এর যামানায় শিয়া মতবাদ চালুই হয় নাই, শিয়া ব্যক্তি আসবে কোথা থেকে? আপনি ইতিহাসের কিছু জানেন?
মওলানা সাহেবঃ মাফ করবেন, আমি ভুল বলেছি, রাসুলুল্লাহ (সাঃ ) এর যামানায় নয়, ছাহাবাদের যামানায়। ছাহাবারা তালিমে মশগুল ছিলেন এমন সময় একজন শিয়া ব্যক্তি তাদের জুতা চুরি করেছিলেন।
শিয়া আলেমগনঃ মিথ্যা কথা। ছাহাবাদের যামানায়ও শিয়া মতবাদ চালু হয় নাই। সেই সময় কোন শিয়া ছিলোনা।
মওলানা সাহেবঃ তাহলে এটি তাবেয়ীনদের যামানার ঘটনা।
শিয়া আলেমগনঃ অসম্ভব! তাবেয়ীনদের সময়ও কোন শিয়া ছিলোনা।
মওলানা সাহেবঃ তাহলে নিশ্চই ঘটনাটি তাবে-তাবেয়ীনদের যামানার।
শিয়া আলেমগনঃ ইতিহাস সাক্ষী যে এই চারটি যামানার কোনটিতেই শিয়া ছিলোনা। কারন শিয়া মতবাদ চালু হয়েছে এই চার যামানার অনেক পরে। সুতরাং শিয়াগন জুতা চুরি করতেই পারে না।
মওলানা সাহেবঃ এই চার যামানার কথা বললেন, এর সাথে আমাদের কি সম্পর্ক বলতে পারেন?
শিয়া আলেমগনঃ নিশ্চই বলতে পারি। এই চার যামানায় দেয়া ব্যাখ্যার ভিত্তিতেই আমরা মুসলমান। এর পরে দেয়া সব ব্যাখ্যাই বাতিল ও আবর্জনায় নিক্ষিপ্ত।
মওলানা সাহেবঃ কিন্তু একটু আগেই না আপনারা বললেন এই চার যামানায় কোন শিয়া ছিলোনা। তাহলে কি আপনারা সেই মতবাদ গ্রহন করেন নাই যা ওই চার যামানার পরে সৃষ্টি হয়েছে। আপনাদের মত অনুসারেই যা বাতিল ও আবর্জনায় নিক্ষিপ্ত?
শিয়া আলেমগন নির্বাক হয়ে গেলেন, তারা মাথা নিচু করে বসে রইলেন। এমন কি জনতাও স্তব্ধ হয়ে বসে রইলো।
মওলানা সাহেব বগল থেকে জুতা বাহির করে পায়ে দিলেন। বিনয়ের সাথে ধীর কিন্তু দৃঢ় পদক্ষেপে জলসা থেকে বের হয়ে গেলেন। তিনি অনেক দূর চলে গেলেন, তখনও শিয়া আলেমগন নির্বাক আর জনতা স্তব্ধ হয়ে বসে রইলো।

৩- আমাদের দেশের কিছু মুসলমান
দুই ব্যক্তি একঢি সফরে যাত্রা করেছিল । পখিমধ্যে দুইজনই ক্ষুধার্ত হয়ে পড়েছিলো। তখন তারা স্হির করলো রান্না করবে ।
একজন বললোঃ আমি বাজারে গিয়ে সওদা নিয়ে আসছি, তূমি ততক্ষণ জঙ্গল থেকে কিছু জালানি কূড়িয়ে নিয়ে এস ।
দ্বিতীয় জন বললো ঃ দোসত, তূমি জান না আমি এই বিরাট সফরের দ্বারা কতটা ক্লান্ত হয়ে পড়েছিা আমার পক্ষে এখন জ্বণিানি ফূড়ানো সম্ভব নয়।
প্রথম ব্যক্তি বেচারা নিজেই বাজার থেকে সওদা কিনে আনলো এবং নিজেই জঙ্গলে গিয়ে জ্বাণীনি কূড়িয়ে নিয়ে আসলো।
এরপর সে বললো: এবার ভাই তুমি আণ্ডন ধরাও, আমি চাউলণ্ডলি ধূই।
দ্বিতীয় ব্যক্তি বললোঃ এতটা ধৈর্য্য কোথায়? আমার শরীর একেবারেই ভেঙ্গে পড়েছে। প্রথম ব্যক্তি কাজ দুইঢি একাই করলো। এরপর বললোঃ আমি তরকারী কূটে নিচ্ছি, তূমি বসে বসে ভাতের হাঁড়িতে জাল দিতে থাক।
দ্বিতীয় ব্যক্তি বললোঃ বসে থাকা আমার পক্ষে মরণ।সফরে হেঁটে আমার পা দুইটা ব্যাথায় চুরমার হয়ে যাচ্ছে।
অতঃপর প্রথম ব্যক্তি ভাত-তরকারী সব একাই রান্না করে বললোঃ- এসো ভাই খাবার খেয়ে নেই।
তখন দ্বিতীয় ব্যক্তি বললোঃ অনেকক্ষণ থেকে তোমার সব কথাই অমান্য করে আসছি। আর কত অমান্য করা যায়? বার বার অমান্য করতে আমার লজ্জা লাগছো দাও অন্তত খাবারটা খেয়ে নেই ।

৪- সন্দেহ
সন্দেহ একটি মারাত্মক রোগ। এক মাদ্রাসার ছাত্রের সন্দেহ হল তার মাথা নাই। ব্যপারটা ততকালিন বিশিষ্ট শিক্ষক মওলানা মুহাম্মদ ঈয়াকুব (রঃ ) এর কানে গেল। তিনি ছাত্রটিকে জিজ্ঞাস করলেন “ তোমার মাথা নাই?”
ছাত্রটি উত্তর দিলো “জী না”। এই শুনে মওলানা সাহেব জুতা খুলে ছাত্রটির মাথায় মারতে লাগল।
ছাত্রটি চিতকার করতে লাগল, “মরে গেলাম, মরে গেলাম, খুব লাগছে”।
মওলানা সাহেব জিজ্ঞাস করলেন করলেন,"কোথায় লাগছে?”
ছাত্রটি উত্তর দিলো, "মাথায় লাগছে।“
মওলানা সাহেব বললেন, "মাথা তো নাই, ব্যথা লাগছে কেমনে?”
ছাত্রটি উত্তর দিলো, "মাথা আছে হুজুর, মাথা আছে।”
মওলানা সাহেব জিজ্ঞাস করলেন, "আর কোনদিন বলবা মাথা নাই?”
ছাত্রটি উত্তর দিলো, "না হজরত, না”।
তখন মওলানা সাহেব ছাত্রটিকে ছেরে দিলেন।
-তেমনি প্রমানিত হাদিস থেকে পাওয়া বিষয় নিয়ে সন্দেহ করা উচিত নয়। সেগুলোকে ঠিক মনে করে কাজ করতে হবে। বাকী আল্লাহ মাফ করনেওয়ালা।

৫- যাকাত
১- কেউ কেউ বলে “কোথাও জাকাত অর্থে ‘সম্পদের ১/৪০ ভাগ দান করা’ এবং কোথাও জাকাত অর্থে ‘পবিত্রতা অর্জন’; একই শব্দের পরস্পর অসামঞ্জস্য/অসংগত অনুবাদের উদ্দেশ্য কী”।
= আসলে দুই যাগাতেই জাকাত অর্থ এক, ‘পবিত্রতা অর্জন’, প্রথমটিতে ১/৪০ ভাগ দান করা বলতে সম্পদ পবিত্র করার পদ্ধতি বলা হচ্ছে।প্রথম ক্ষেত্রে জাকাত অর্জনের পদ্ধতি লিখেছেন, আর দ্বিতীয় ক্ষেত্রে জাকাত শব্দের আভিধানিক অর্থ লিখেছেন, তাই এই ভুল বোঝাবুঝি।
এই ‘পবিত্রতা অর্জন’ –কে ওযু করার সাথে তুলনা করা যায়।পরিষ্কার(পাক) শরিরে ওযু করলে পবিত্রতা অর্জিত হয়, অপরিষ্কার(নাপাক) শরিরে ওযু করলে পবিত্রতা অর্জিত হয়না বরং সারা শরির ধুতে হয়। সে রকম, আপনার হালাল সম্পদ থাককে তার ১/৪০ ভাগ দান করে(নবীজীর-শিক্ষা) তা পবিত্র করতে পারেন। আর আপনার সম্পদ হালাল না হয়ে থাকলে পবত্রতা অর্জন করতে হলে সারা শরির ধোয়ার মত পুরোটাই ত্যাগ করতে হবে। দেহ পবিত্র না হলে যেমন প্রার্থনা কবুল হয় না তেমন সম্পদ পবিত্র না হলেও প্রার্থনা কবুল হয় না।
২- কেউ কেউ আরও লিখেছেন “আর তাই বলে মাত্র ২৩ বৎসরের মধ্যেই আরব বেদুঈনদের মধ্যে সম্পদের ঘৃণ্য প্রতিযোগিতা স্তব্ধ হয়ে সমতা, ত্যাগ ও সেবার প্রতিযোগিতা প্রতিষ্ঠিত হয়;”।
=আপনাকে জানানো প্রয়োজন মনেকরছি যে নবীজীর অধিকাংশ বিশিষ্ট সাহাবি সুসভ্য আরব ছিলেন, খুব কম বিশিষ্ট সাহাবিই বেদুইন ছিলেন।
৩- কেউ কেউ আরও লিখেছেন তাদের ভেবে দেখা দরকার যে, ঐ ২.৫০% শতাংশ জাকাত দেয়ার পরে আমাদের মত পুনঃ ট্যাক্স দিত কিনা! যদি না দেয় তবে আমরা ক্রয় ট্যাক্স, বিক্রয় ট্যাক্স, সম্পত্তি ট্যাক্স, আয় ট্যাক্স, পথ ট্যাক্স, পানি-মাটি ট্যাক্স, নিকাহ ট্যাক্স ইত্যাদি নানা ধরণের (কথিত) জাকাত দিয়ে থাকি, যা একুনে ২.৫০% শতাংশের অনেক অনেক উর্ধে এবং যা বায়তুল মালেই জমা হয়।
=আপনাকে জানাতে চাই যে আপনি এই টেক্স মাগনা দেন না, এই টেক্সের বিনিময়ে আপনি রাষ্ট্রের কাছ থেকে সেবা পেয়ে থাকেন। এরকম টেক্স খলিফায়ে রাশেদিনের সময়ও চালু ছিলো। তারপরও সেইসময় জাকাত আদায়ের জন্য আলাদা ডিপার্টমান্ট ছিলো।