২ এপ্রিল, ২০১৩

দিল্লির লৌহস্তম্ভ


দিল্লির লৌহস্তম্ভ একটি ৭ মিটার (২২ ফুট) উঁচু লোহার খুঁটি, যা কুতুব মিনার চত্বরে অবস্থিত। 
১৬০০ বছরের পুরানো এই লোহার খুঁটি নির্মাণে ধাতুর ব্যবহার আজও বিস্ময়কর।
স্তম্ভটির ওজন ৬ টনের কিছু বেশি। এটি দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের রাজত্বকালে (৩৭৫-৪১৩ খ্রিস্টাব্দ) নির্মিত। অন্য মতে, ৯১২ খ্রিস্টপূর্বাব্দে নির্মিত। লৌহস্তম্ভটি অতীতে সাতাশটি জৈন মন্দির নিয়ে গঠিত একটি চত্বরের কেন্দ্রে অবস্থিত ছিল। কুতুবুদ্দিন আইবক মন্দিরগুলি ভেঙে তার মালমশলা দিয়ে উক্ত চত্বরে কুয়াত-উল-ইসলাম মসজিদ ও কুতুব মিনার নির্মাণ করেন।
 
পুরাতাত্ত্বিক ও ধাতুবিদ্যা বিশারদেরা দিল্লির লৌহস্তম্ভকে "প্রাচীন ভারতের ধাতুবিদ্যার উন্নতির একটি উল্লেখযোগ্য নিদর্শন" মনে করেন। কারণ এই লৌহস্তম্ভের মরচে প্রতিরোধ ক্ষমতা অত্যন্ত বেশি।
সাধারনত লোহা খোলা রাখলে মরচে পরে নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু দিল্লির লৌহ খুঁটিতে আয়রন, অক্সিজেন এবং হাইড্রোজেনের একটি যৌগের পাতলা স্তর ঢালাই লোহার থামকে মরচে পরা থেকে রক্ষা করেছে। প্রাচীন ভারতের বিশেষ ধাতুবিদ্যার কারনে তারা লোহাকে ইস্পাতে পরিণত করতে জানতো। একটি রিপোর্ট অনুসারে পিলারটির লোহায় উচ্চ মাত্রায়(১%) ফসফরাসের কারনে এই প্রতিরক্ষামূলক ফিল্মটি তৈরি হতে পেরেছে। বর্তমানে লোহায় ০.০৫% এরও কম ফসফরাস রাখা হয়।

আস্তরটি তৈরি হতে তিন বছর লেগেছিল, ধীরে ধীরে আরও পুরু হয়েছে। ১৬০০ বছরে এই আস্তর একটি মিলিমিটারের বিশ ভাগের ১ ভাগ পুরু হয়েছে। খুঁটিটির মোট উচ্চতা ২৩ ফিট ৮ ইঞ্চি (7.21 মিটার), আর মাটির নিচে আছে ৩ ফুট ৮ ইঞ্চি (1.12 মিটার)। খুঁটির সর্বনিম্নে ব্যাস হল ১৬.৪ ইঞ্চি আর শির্শে ব্যাস ১২.০৫ ইঞ্চি।

জাতীয় সংসদ ভবনের ছবি








সংসদ ভবন যেন বিল্ডিং না, ভাষ্কর্যের। সম্পুর্ন ৯ তলাই কংকৃটের তৈরি। ৪র্থ তলা আবার আরেকটা জগত! এমন ভাবে বানান যেন এটাই বাগান তার পাশ দিয়ে কয়েকটি ৬ তলা ভবন উঠে গেছে। ভেতরের দেয়াল গুলোও বাইরের মতই। কোথাও বিশাল গোল ফোকর আবার কোথাও সুদৃস্ব জ্যামিতিক কাঠামো। এটা দেখে আমি বুঝলাম কেন সবাই "জাতীয় সংসদ" এলাকায় কোন কিছু করার এত বিরোধিতা করে। তাই জাতীয় সংসদ ভবন সম্পর্কে কিছু তথ্য ও ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। “জাতীয় সংসদ ভবন” –এর ভেতরে ছবি তোলা নিষেধ, তাই অধিকাংশ ছবি নেট থেকে নেয়া।

1. জাতীয় সংসদ ভবন ঢাকার শেরে-বাংলা নগরে অবস্থিত।
2. মোট এলাকা: ২০০ একর (৮,০০,০০০ m²)
3. প্রখ্যাত মার্কিন স্থপতি লুই কান এটির মূল স্থপতি।
4. জাতীয় সংসদ ভবনের নির্মাণ শুরু হয় ১৯৬১ সালে।
5. ১৯৮২ সালের ২৮শে জানুয়ারি নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়।
6. নকশা ও নির্মান ব্যয়: ১২৯ কোটি টাকা
7. ১৯৮২ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সংসদের অষ্টম অধিবেশনে প্রথম এই সংসদ ভবন ব্যবহৃত হয়।
8. মূল ভবনটি (সংসদ ভবন) মূলতঃ তিন ভাগে বিভক্ত:
a. মেইন প্লাজা ৮২৩,০০০ বর্গফুট (৭৬,০০০ বর্গমিটার)
b. সাউথ প্লাজা ২২৩,০০০ বর্গফুট (২০,৭০০ বর্গমিটার)
c. প্রেসিডেন্সিয়াল প্লাজা ৬৫,০০০ বর্গফুট (৬,০০০ বর্গমিটার)

সংসদ ভবনে আছে-
সিড়ি : ৫০ টি
টয়লেট : ৩৪০ টি
দরজা : ১,৬৩৫ টি
জানালা : ৩৩৬ টি।

নয়টি ব্লক দিয়ে মূল ভবন তৈরী, একে ঘিরে ১টি কৃত্রিম হ্রদ ও দুটি বাগান রয়েছে। মাঝখানে ১৫৫ ফুট উচ্চতার অষ্টভূজ ব্লক, অন্য আটটি ব্লক ১১০ ফুট। করিডোর, লিফট, সিড়ি ও বৃত্তাকার পথ দিয়ে আনুভূমিক ও উলম্বিকভাবে ব্লকগুলোকে এমনভাবে আন্তঃসংযোগ করা হয়েছে যে ৯টি ব্লক মিলে একটি ভবনটির অভিন্ন স্থান হিসাবে ব্যবহার করা যায়।
সংসদ অধিবেশন কক্ষটি পরাবৃত্তাকার ছাদের কক্ষটির উচ্চতা ১১৭ ফুট, ছাদটি স্বচ্ছ যাতে দিনের আলো প্রবেশ করতে পারে। এখানে ৩৫৪ জন সাংসদের বসার ব্যবস্থা রয়েছে। দুইটি ভিআইপি পোডিয়াম এবং দুইটি গ্যালারী রয়েছে।
সাউথ প্লাজা দক্ষিণ দিকে মানিক মিয়া এভিনিউর অবস্থিত। ২০ ফুট ভবন সৌন্দর্যের পাশপাশি সংসদ ভবনের মূল প্রবেশ পথ হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
প্রেসিডেন্সিয়াল প্লাজা উত্তর দিকে অবস্থিত এর সামনেই লেক রোড। এই থাকে। মার্বেলের তৈরি মেঝে, গ্যালারী এবং খোলা পথের এই প্লাজা সংসদ সদস্য এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের জন্য ব্যবহৃত হয়।





9. জাতীয় সংসদ কমপ্লেক্সকে ঘিরে রয়েছে চারটি প্রধান সড়ক:
উত্তর দিকে লেক রোড
পূর্ব দিকে রোকেয়া সরণী
দক্ষিণ দিকে মানিক মিয়া এভিনিউ
পশ্চিম দিকে মিরপুর রোড।

তাকওয়া

১. স্রষ্টা কে:
 
যে একক স্বত্তা পরন শূন্যতাকে বিলীন করে নিজে নিজেই অনস্ত্বিত্বের থেকে অস্ত্বিত্ব লাভ করলেন তিনিই এক ও অদ্বিতীয় স্রষ্টা।
স্রষ্টা কে জানতে হলে সৃষ্টি সম্পর্কে জানা দরকার। আমরা বলি মহাশূন্য, আসলে এটা শূন্য নয়। মহাকাশে আন্ত নাক্ষত্রিক ফাকা স্থানের গরে প্রতি ঘন ইঞ্চিতে ২টি(১.৬৩ টি) কণা পাওয়া যায়। মহাশূন্য সৃষ্টি হওয়ারও আগে এটা প্রকৃতই শুন্য ছিলো। এই শূন্য হচ্ছে এমন একটা অবস্থা যেখানে-
1. কোন বস্তু কণা, আলো বা কোন ধরনের শক্তি তরঙ্গও ছিলো না,
2. স্থান(যেমন: আপনার ও মনিটরের দূরত্ব) বা কাল(সময়) ছিলো না,
3. এমনকি এই শূন্য/শূন্যতা সম্পর্কে জানে এমন কিছু/কেহ ও ছিলো না।

এই অবস্থায় শুধু মাত্র কোন একক কিছু(সিঙ্গুলারিটি)-র আবির্ভাব ঘটা সম্ভব, যা যত ছোটই হোক না কেন শূন্যতা বিলীন করে দেবে। যার আবির্ভাব ঘটবে তাই হবে সবকিছু। আর শুন্যতা বিলীন হয়ে যাওয়ায় অন্য কিছুরই আর তখন আগমন ঘটতে পারবে না। কারণ একমাত্র শূন্যতাতেই যে কোন কিছু আসতে পারে, কিন্তু শূন্যতা তো আর নাই, কোথায় আসবে?
যে একক স্বত্তার আগমনে পরন শূন্যতা বিলীন হল, যিনি নিজে নিজেই অনস্ত্বিত্বের থেকে অস্ত্বিত্ব লাভ করলেন তিনিই এক ও অদ্বিতীয় স্রষ্টা। যে কারনে স্রষ্টার আরেক নাম “স্বয়ম্ভূ”।

এখন মহাবিশ্ব পূর্বে তৈরি করা কোন শূন্য বিন্দুতে তৈরি হয়ে থাকলে এটি একা একা তৈরি হয় নাই বরং ১জন ডিজাইনার মহাবিশ্ব তৈরি করার জন্য অবকাঠামো তৈরি করেছিলেন। তারপর তিনি যেভাবে চেয়েছেন / ডিজাইন করেছেন সেভাবেই এই মহাবিশ্ব তৈরি হয়েছে।
আধুনিক ইনফ্লেশন থিউরি অনুযায়ী শূন্য বিন্দুতে মহাবিশ্বের মত কিছু তৈরি করে সম্ভব। কিন্তু শূন্য স্থানে কোন কিছু তৈরি করলে প্লাস-মাইনাস এনার্জি কাটাকাটি করে যেকোনো সময় আবার শূন্য “০” হয়ে যেতে পারে। যে কারণে মাল্টিভার্স তত্ত্ব (Mথিউরি) আনা হয়েছে।
স্রষ্টাকে বাদ দিয়ে মহাবিশ্বের স্থিতিশীলতা আনতে স্ট্রিং থিউরি অনুযায়ী এ রকম মাল্টিভার্স মহাবিশ্বের সংখ্যা 10^10^10^7 টি(১০ বিলিয়ন টু দি পাওয়ার ১ কোটি) বলা হয়েছে, এটি অকল্পনীয়/অবাস্তব রকম বড় একটি সংখ্যা। সংখ্যাটি এত বড় যে মানব মস্তিষ্ক এটা কল্পনা পর্যন্ত করতে পারে না, কারণ মানব মস্তিষ্ক সর্বোচ্চ 10^10^16(১০ বিলিয়ন টু দি পাওয়ার ১৬) টি পর্যন্ত পয়েন্ট ধরতে সক্ষম।

স্রষ্টার সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব হচ্ছে তিনি অনস্তিত্বের মধ্যে নিজের অস্তিত্ব তৈরি করে তাকে স্টেবিলিটি দিয়েছেন। অস্তিত্ব তৈরি আগে তিনি সিংগুলারিটি/এক ও অদ্বিতীয়, অনাদী ও অনন্ত ছিলেন।
আপনার যদি মনে হয় মহাবিশ্ব স্বাধীন, সুশৃঙ্খল ও স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে চলছে তাহলে এর স্রষ্টা বা পরিচালকও এমন এক জন যিনি স্বাধীন ও স্বয়ং সম্পূর্ণ।
কোরআনে বলা হয়েছেঃ-
তিনি সাত আকাশ সৃষ্টি করেছেন সুবিন্যস্ত ভাবে। তুমি পরম করুণাময়ের সৃষ্টিতে অসামঞ্জস্য দেখতে পারবে না। তারপর তুমি তোমার দৃষ্টি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নাও, তুমি কি কোন ফাটল দেখতে পাচ্ছ?" (সুরা মুলক: ৩)

< ২. এই ডিজাইনার বা স্রষ্টার নাম কি? >
কোরআনে একটি আয়াত আছে-
إِنَّنِي أَنَا اللَّهُ لَا إِلَٰهَ إِلَّا أَنَا فَاعْبُدْنِي وَأَقِمِ الصَّلَاةَ لِذِكْرِي [٢٠:١٤]
আমিই আল্লাহ, আমি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই। অতএব আমার এবাদত কর এবং আমার স্মরণার্থে নামায কায়েম কর। (Taa-Haa: 14)
কোরআনে আরেকটি আয়াতে এমন বলা হয়েছে-
তোমাদের সৃষ্টি অধিক কঠিন না আকাশের, যা তিনি নির্মাণ করেছেন? তিনি একে উচ্চ করেছেন ও সুবিন্যস্ত করেছেন। তিনি এর রাত্রিকে করেছেন অন্ধকারাচ্ছন্ন এবং এর সূর্যালোক প্রকাশ করেছেন। পৃথিবীকে এর পরে বিস্তৃত করেছেন। তিনি এর মধ্য থেকে এর পানি ও ঘাম নির্গত করেছেন, পর্বতকে তিনি দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন, তোমাদের ও তোমাদের চতুষ্পদ জন্তুদের উপকারার্থে। (সুরা নাযিয়াত ২৭-৩১)

< ৩. আল্লাহই সব জানেন! >
(তিনি (আল্লাহ) বললেন, নিঃসন্দেহে আমি জানি, যা তোমরা জান না।( (সুরা বাকারা আয়াত ৩০)
মেরাজের ঘটনার বিবরণ থেকে বোঝা যায় যে বেহেস্ত, দোজখ, আসমান, দুনিয়া, হাশর সবই সৃষ্টি-জগতের অধীন, কারণ এসব স্থানে জিবরীল(আঃ) রসুলুল্লাহ(সাঃ) এর সাথে ছিলো। কিন্তু আল্লাহর দিদারের সময় জিবরীল(আঃ) রসুলুল্লাহ(সাঃ) এর সাথে ছিলেন না। বরং বিবরণে দেখা যায় বাক্স/লিফট টাইপের কিছুতে করে রসুলুল্লাহ(সাঃ)-কে অন্য কোথাও নেওয়া হয়েছিলো, যেখানে যাওয়ার সাধ্য ফেরেশতা শ্রেষ্ঠ জিবরীল(আঃ)-এরও ছিল না। রসুলুল্লাহ(সাঃ)-কে একা আল্লাহর দিদারের জন্য সৃষ্টি-জগতের বাহিরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো।
কোরআন-এ বলা হয়েছে-
• তিনি নভোমণ্ডল, ভূমণ্ডল ও এতদুভয়ের অন্তর্বর্তী সবকিছু ছয়টি পর্যায়কালে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর আরশে সমাসীন হয়েছেন (সূরা আল-ফুরকান ৫৯)
• তাঁর সিংহাসন সমস্ত আসমান ও যমীনকে পরিবেষ্টিত করে আছে (সুরা বাক্বারাহ ২৫৫)
• যা কিছু নভোমণ্ডলে আছে এবং যা কিছু ভূমণ্ডলে আছে, সব আল্লাহরই। সব বস্তু আল্লাহর মুষ্টি বলয়ে। (সূরা আন-নিসা ১২৬)
উপরের আয়াত থেকে বোঝা যায় যে, আল্লাহ তায়ালা সৃষ্টি-জগতের বাহিরে অবস্থান করছেন।
অনেক কোরআন শরিফ তফসির কারক আলেমের মতে কোরআন-হাদিসের যেসব বিবরণে আল্লাহকে দুনিয়ায় উপস্থিত বলা হয়েছে সেখানে আল্লাহ-কে শারীরিক ভাবে নয় বরং তাঁর জ্ঞানের মাধ্যমে উপস্থিত বুঝান হয়েছে।
বিজ্ঞানের নিয়ম আমাদের স্থানের ভিতর দিয়ে চলাচল করতে দেয়, ফলে আমরা সামনে/পিছে, কাছে/দুরে যেতে বা দেখতে পারি। বাস্তব জগতে বস্তুর ৩টি মাত্রা(dimension)- দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, উচ্চতা। এদের আমরা সহজেই মাপতে পারি, এপাশ থেকে ওপাশে যেতে পারি। কিন্তু বিজ্ঞানের নিয়ম আমাদের সময়ের ভিতর দিয়ে চলাচল করতে দেয় না। ফলে আমরা অতীতকে দেখতে বা পরিবর্তন করতে পারিনা এবং ভবিষ্যৎ দেখিও না জানিও না। সময়ের কোন প্রমাণ মাপ নেই, কারণ সময়কে আমরা সরাসরি ধরতে পারি না। শুধুমাত্র সময় প্রবাহের আপেক্ষিক হিসাব রাখতে পারি।
আল্লাহর অবস্থান যেহেতু সৃষ্টি-জগতের সীমানার বাহিরে। সুতরাং, সৃষ্টি-জগতের (স্থান-কালের) বিজ্ঞানের নিয়ম আল্লাহর জন্য প্রযোজ্য হবে না। ফলে সময়ের সীমানায়ও তিনি আবদ্ধ নন, বরং তিনি সময়ের সূত্রের বাইরে অবস্থান করেন।
আমরা যেমন আমাদের সামনের টেবিলে রাখা জিনিষ-পত্র একবারে দেখি, আল্লাহ্‌ তায়ালাও সৃষ্টির শুরু(big bang) থেকে সৃষ্টির শেষ(big-crank) পর্যন্ত কবে কি হয়েছে এবং কবে কি হবে একইসাথে দেখতে পান। মহাবিশ্বের কোন কিছুই তাঁর পেছনে বা অতীত /ভবিষ্যতে নয়, সবকিছুই তাঁর কাছে বর্তমান। তাই তিনি সৃষ্টি করার সাথে সাথেই জেনে গেছেন এর শেষ কী। আর সৃষ্টির শুরুতেই সব লিখে “লওহে-মাহফুজ”-এ রেখে দিয়েছেন।
আল্লাহ্‌ নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলের অদৃশ্য বিষয় জানেন, তোমরা যা কর আল্লাহ্‌ তা দেখেন। (সূরা আল হুজরাত ১৮)
তাঁর জ্ঞান সীমা থেকে তারা কোন কিছুই পরিবেষ্টিত করতে পারে না, কিন্তু যতটুকু তিনি ইচ্ছা করেন। (সুরা বাক্বারাহ ২৫৫)|
আল্লাহ্‌ যা ইচ্ছা করেন তা ব্যতীত। নিশ্চয় তিনি জানেন প্রকাশ্য ও গোপন বিষয়। (সূরা আল-আলা ৭)|
আল্লাহ লিখে রেখেছেন বলে ঘটনা সমূহ ঘটছে এমন নয়, বরং “আলেমুল গায়েব”বলে তিনি আগেই জানতেন যে আমরা কে কী করব, কখন কী হবে, কিসের পরিণতি কী।
আল্লাহ সর্বপ্রথম কলম তৈরি করেছেন এবং সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কি কি হবে তা লিখে রেখেছেন। “লওহে-মাহফুজ”-এ লিখে রাখাটা আল্লাহর অনন্যতার একটি নিদর্শন। এই লেখা আল্লাহর superiority “আলেমুল গায়েব” নামের প্রমাণ।
যাতে আমরা ধর্ম গ্রন্থ পড়ে তার সত্যতা উপলব্ধি করতে পারি। চিন্তা করে বুঝতে পারি যে আমাদের উপর ১জন মহান আছেন যিনি সমস্ত সৃষ্টি-জগতের উপর একক আধিপত্য রাখেন।

< ৪. আমরা করি না আল্লাহ করান?>

আমরা আগেই বলেছি যে, “লওহে-মাহফুজ”-এ লিখে রাখাটা আল্লাহর অনন্যতার একটি নিদর্শন। এই লেখা আল্লাহর superiority “আলেমুল গায়েব” নামের প্রমাণ। আল্লাহ লিখে রেখেছেন বলে ঘটনা সমূহ ঘটছে এমন নয়, বরং “আলেমুল গায়েব”বলে তিনি আগেই জানতেন যে আমরা কে কী করব, কখন কী হবে, কিসের পরিণতি কী।
এর একটা উদাহরণ কোয়ান্টাম মেকানিক্স থেকে দেয়া যায়। যেমন- ১ টি বাক্সে ২টি(১ জোড়া) মজা রাখলেন, এরপর চোখ বন্ধ করে ১টা মজা নিয়ে আপনার পকেট ভরলেন। এখন সাধারন ভাবে আমরা বোলব পকেটের রাখা মোজাটা ৫০-৫০ চান্স বাম বা ডান হবে। কিন্তু কোয়ান্টাম মেকানিক্স বলে যতক্ষণ পর্যন্ত জোড়ার কোন ১টি মোজা পর্যবেক্ষণ করা না হবে ততক্ষণ এরা ১টা জটিল অবস্থায় থাকবে, বামও না ডানও না; এবং যেকোন ১ টা মোজা পর্যবেক্ষণ করলেই জোড়ার ২ টি মোজাই আকার লাভ করবে।
এই কথাটাই আমরা এভাবে বলতে পারি যে, আমরা যে বলি আমাদের সামনে একাধিক পথ আছে, এটা করলে এই হবে, ওটা করলে ওই হবে; আল্লাহ চাইলে আমি এই কাজ না করে ঐটা করতাম; এই কথাগুলো ঠিক নয়। বরং আমাদের চিন্তা/সিদ্ধান্ত থেকে পরবর্তী পথ সৃষ্টি হয়, এর প্যারালাল অন্য কোন পথ আসলে থাকে না। যদিও ভুল করে ফেলার পর আমরা ভাবি যে কাজটা “ওই ভাবে” করলে এই সমস্বা হত না। আসলে “ওই ভাবে” বলতে কিছু নাই।
আল্লাহ সৃষ্টি জগত ও সৃষ্টি-জগতের নিয়ম-কানুন তৈরি করে মানুষকে প্রতিনিধি করে পাঠিয়েছেন। মানুষকে দিয়েছেন চিন্তা করার ও সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা। যা ঘটে তা আসলে আমাদের চিন্তা/সিদ্ধান্ত থেকেই ঘটে। এখানে আল্লাহ্‌র ক্ষমতা এতটুকুই যে তিনি কিছু প্যারামিটার দিয়ে রেখেছেন, আপনি চাইলেও কিছু কিছু সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না।

< ৫. মানুষ সৃষ্টি উদ্দেশ্য কী? >
স্রষ্টা প্রথমে বিশুদ্ধ শক্তি তৈরি করেছেন। তারপর এই শক্তি থেকে বস্তু বা পদার্থ তৈরি করেছেন। এরপর বস্তুর মন তৈরি করেছেন।
এ বিষয়ে কোরআনে আল্লাহ-তায়ালা বলছেন-
অতঃপর এ ঘটনার পরে তোমাদের অন্তর কঠিন হয়ে গেছে। তা পাথরের মত অথবা তদপেক্ষাও কঠিন। পাথরের মধ্যে এমন ও আছে; যা থেকে ঝর্ণা প্রবাহিত হয়, এমনও আছে, যা বিদীর্ণ হয়, অতঃপর তা থেকে পানি নির্গত হয় এবং এমনও আছে, যা আল্লাহর ভয়ে খসে পড়তে থাকে! আল্লাহ তোমাদের কাজকর্ম সম্পর্কে বে-খবর নন। (Al-Baqara: 74)
এই আয়াত থকে ২ টি বিষয় বোঝা যায়-
১ঃ সকল বস্তুরই মন আছে,
২ঃ এই মন স্বাধীন নয় বরং আল্লাহ্‌র নির্দেশ মত বা ভয়ে চলে।
এমনকি ফেরেশতারাও এর ব্যতিক্রম নয়। তারাও আল্লাহ্‌র নির্দেশের বাইরে কিছুই করতে পারে না।
সবশেষে আল্লাহ্‌ তাঁর শ্রেষ্ঠতম জিনিষ তৈরি করলেন, -
স্বাধীন মন
মানুষের মন আল্লাহ্‌ শ্রেষ্ঠতম সৃষ্টি , কারণ মানুষের মনকে আল্লাহ্‌ তাঁর নিজের গুণাবলী ও সৃজনশীলতা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। একমাত্র মানুষই পারে নিজেকে আল্লাহ্‌ স্থানে কল্পনা করতে। শয়তানও নিজেকে স্রষ্টা বলে দাবি করে না বরং নেগেটিভ গড হিসাবে নিজেকে উপস্থাপন করে, কিন্তু ইতিহাসে অসংখ্য মানুষ পাবেন যারা নিজেকে ঈশ্বর বলে দাবি করেছেন। এটা আসলে মানুষের মনের শ্রেষ্ঠত্বের অহংকারের নেগেটিভ একশন।

আবার অনেক আল্লাহ্‌ প্রেমিকও সূফী সাধকও নিজের ভেতরে আল্লাহ্‌র সকল বৈশিষ্ট্য দেখে, বোঝার ভুলের কারণে নিজেকে আল্লাহর অংশ(আনাল-হক) বলে দাবী করেছেন। আসলে মানুষের কেউই আনাল-হক না, বরং আল্লাহ্‌ দয়া করে মানুষকে তাঁর নিজের গুণাবলি ও সৃজনশীলতা দান করেছেন, মানুষকে করেছেন তাঁর প্রতিনিধি।
কোরআনের ভাষায়:
(Yunus: 14) অতঃপর আমি তোমাদেরকে জমিনে তাদের পর প্রতিনিধি বানিয়েছি যাতে দেখতে পারি তোমরা কি কর।
(Al-Baqara: 30) আর তোমার পালনকর্তা যখন ফেরেশতাদিগকে বললেন: আমি পৃথিবীতে একজন প্রতিনিধি বানাতে যাচ্ছি, তখন ফেরেশতাগণ বলল, তুমি কি পৃথিবীতে এমন কাউকে সৃষ্টি করবে যে দাঙ্গা-হাঙ্গামার সৃষ্টি করবে এবং রক্তপাত ঘটাবে? অথচ আমরা নিয়ত তোমার গুণকীর্তন করছি এবং তোমার পবিত্র সত্তাকে স্মরণ করছি। তিনি বললেন, নিঃসন্দেহে আমি জানি, যা তোমরা জান না।
(Al-An'aam: 165) তিনিই তোমাদেরকে পৃথিবীতে প্রতিনিধি করেছেন এবং একে অন্যের উপর মর্যাদা সমুন্নত করেছেন, যাতে তোমাদেরকে এ বিষয়ে পরীক্ষা করেন, যা তোমাদেরকে দিয়েছেন। আপনার প্রতিপালক দ্রুত শাস্তি দাতা এবং তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল, দয়ালু।
এখানে দেখা যায় যে, আল্লাহ্‌ মানুষকে তাঁর প্রতিনিধি বলেছেন।
আর প্রতিনিধি তাকেই বলে যে স্বাধীন ভাবে অনুপস্থিত কারো হয়ে কাজ করে। আল্লাহ্‌ তাঁর সবচেয়ে বড় গুন "চিন্তা করার স্বাধীনতা" বা স্বাধীন মন দিয়ে মানুষ তৈরি করেছেন। আর স্বাধীন মন এর তুলনায় সমস্ত মহাবিশ্ব মূল্যহীন। এখন আল্লাহ পরীক্ষা করতে চাইছেন যে কোন স্বাধীন মন আল্লাহ্‌র প্রতি অনুগত আর কোনটি আল্লাহকেই হিংসা বা অহংকার করে। আসলে আমাদের এবাদত/বন্দেগি, দান-খায়রাত, সৎকর্ম/ পরোপকার এগুলোর কোনটাই আল্লাহর দরকার নাই। বরং আল্লাহ্‌ জানতে চান যে এই স্বাধীন মন-এর কে যেকোনো অবস্থায়ই আল্লাহর প্রতি অনুগত থাকে কে গাফেল হয়ে আল্লাহ্‌র থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়।
এবাদত/বন্দেগি, দান-খায়রাত, সৎকর্ম/ পরোপকার এগুলো সবই আল্লাহ্‌র প্রতি নিঃশর্ত আনুগত্যের বাহ্যিক রূপ। এসবের উদ্দেশ্য স্রষ্টার সন্তুষ্টি পাওয়া না হলে এর সবই অর্থহীন। আবার এবাদত/বন্দেগি, দান-খায়রাত, সৎকর্ম না করলে আপনি কখনও প্রমাণ করতে পারবেন না যে আপনিও স্রষ্টার আনুগত্য করেছেন।
আল্লাহ মানুষকে পরীক্ষা করার জন্য দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন, যে কে আল্লাহর প্রতি যে কোন পরিস্থিতিতে নিঃশর্তে অনুগত থাকে এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে; আর কে সুখে/দুঃখে আল্লাহকে দোষ দেয় বা অস্বীকার করে।
বিষয়টাকে এভাবে সরলীকরণ করা যায় যে,:
আল্লাহ বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন/সিচুয়েশন তিরি করেছেন, কোনটা সুখের কোনটা কষ্টের, কোনটা সমৃদ্ধির কোনটা দারিদ্রের, কোনটা সততার কোনটা স্বার্থপরতার। এই বিভিন্ন ধরনের সিচুয়েশনের মূল্যমানও আলাদা। কেউ হয়তো সারা জীবন ধরে দারিদ্র ও সততার মোকাবেলা করলো, আরেক জন ১ ঘণ্টা কষ্টের মোকাবেলা করে পরীক্ষা শেষ করলো( মারা গেলো )। এমন হতেই পারে যে ২য় লোকটার ১ ঘণ্টার পরীক্ষার মান ১ম লোকটার সারা জীবনের দারিদ্র ও সততার চেয়ে বেশি। আবার অন্য ১জন সমৃদ্ধি ও সততা দিয়ে এক দানশীল জীবনে পার করলো, সে কোটি-কোটি টাকা উপার্জন করে তা দান-খায়রাত করে গেলো। এখন আল্লাহই ভাল জানেন যে কোনটার মর্যাদা বেশি, ৩য় ব্যক্তির দান-খায়রাতের না ১ম লোকটার সারা জীবনের দারিদ্র ও সততার। যেমন উমর(রা.) প্রায়ই বলতেন যে আবু-বকর(রা.) এর হিজরতের সময়কার ১ রাতের বিনিময়ে সারা জীবনের সওয়াব দিয়ে দিবেন।

সুরা ফাতিহায় দেখুন-
১- সমস্ত প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ তা’আলার জন্য যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা।:= শুরুতেই আমরা স্বীকার করে নিচ্ছি যে ভাল কাজের প্রশংসা আমার না আল্লাহর প্রাপ্য। এবং আল্লাহই সবার ভরন=পোষণ কারী, মহাবিশ্বের সবকিছুর নেপথ্য চালিকা শক্তি।
২- যিনি পরম করুণাময় ও মহান দয়ালু := এটাও স্বীকার করছি যে আল্লাহ করুণাময় ও দয়ালু ।
৩- যিনি বিচার দিনের মালিক := এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাক্য। এই বাক্যের অর্থ হচ্ছে, " আমরা যেমন ভাবি যে এই করলে এই হয়, অমুক খারাপ কাজ করেছে তাই সে খারাপ থাকবে, আমি ভাল কাজ করি, অন্যের টা মেরে খাই না আমি ভাল থাকবো" এরকম ধারনা ঠিক নয়। মানুষের সকল কাজ কোন এক বিচার দিবসে পরিমাপ করা হবে ও উপযুক্ত প্রতিদান দেয়া হবে। দুনিয়াতে ভাল -খারাপ যত যাই হয় তার সবই আসলে আমাদের পরীক্ষা করার জন্য, কেউ ভাল করে খারাপ পায়, কাউ খারাপ করে ভাল পায়, আবার কেউ যেমন কর্ম তেমন কর্মফল পায়, এগুলো আসলে আল্লাহ আমাদের পরীক্ষা করার জন্য করেন, যে, আমরা কে কোন অবস্থায় তাঁর প্রতি অনুগত থাকি বা বিরক্ত হই।
- আমরা তোমারই এবাদত করি এবং তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি
- তুমি আমাদের সরল এ সহজ পথ দেখাও
- তাদের পথ যাদের তুমি অনুগ্রহ দান করেছ ।
- তাদের পথ নয়,(যারা) অভিশপ্ত এবং পথহারা হয়েছে।
:= এই ৪টি বাক্যে আসলে প্রার্থনা। এই ৪টি বাক্যে দিয়ে আমরা আল্লাহকে বলছি যে "আমরা যে এবাদত করি তার উদ্দেশ্য একটাই যাতে আল্লাহ আমাদের কে তাঁর প্রতি অনুগত পথে পরিচালিত করেন, কখনও বিপথে যেতে না দেন"। এটা আসলে একধরনের রক্ষাকবচ। বিচার দিবসে আল্লাহ-তায়ালা আমাদের পাকরাও করে ফেললে যেন বলতে পারি "আমিতো দুর্বল ছিলাম আর তাই তোমার আশ্রয়ও চেয়েছিলাম।"

এমেচারদের জন্য ডিজিটাল ফটোগ্রাফির টুকিটাকি।

ক্যামেরা কেনার আগে
প্রথমে সিদ্ধান্ত নিন: মেগাপিক্সেল কত হবে, অপটিক্যাল জুম কত, ডিসপ্লের সাইজ এবং আপনার বাজেট। এরপর পছন্দনীয় ফিচার/ফাংশনগুলোর একটি তালিকা করুন। শুধুমাত্র ব্রান্ডের নাম দেখে পছন্দ করবেন না, ইদানিং লিডিং সব কোম্পানীর ক্যামেরার মানই ভালো। এবার আপনার কাঙ্খিত ক্যামেরাটি নিম্নলিখিত সাইটগুলোতে গিয়ে খুঁজে দেখুন:
১। DigiCam Resource Page
২। Imaging Resource
৩। Digital Camera Info
৪। PriceRunner
বিভিন্ন রিভিউ সাইটে গিয়ে দেখতে পারেন আপনার পছন্দের ক্যামেরা সম্পর্কে এক্সপার্টরা কী বলে। এবার দোকানে গিয়ে ক্যামেরাটি ভালোভাবে দেখে সবকিছু (দাম, সার্ভিস, গ্যারান্টি, প্যাকেজের অন্যান্য উপকরন) পছন্দ হলে কিনে নিন।
ক্যামেরা কেনার পরে
ডিজিটাল ক্যামেরার জগতে আপনাকে স্বাগতম! প্রথমে ক্যামেরার সাথে যা যা থাকার কথা সবকিছু আছে কিনা দেখুন। তারপর ৩০টি মিনিট ধৈর্য ধরে প্যাকেটের ইউজার গাইড / ম্যানুয়েলটি পড়ুন। ইদানিং PDF ফরমাটে সিডিতে ম্যানুয়েল দেয়া হয় যা কমপিউটারে পড়তে হবে। সেখানকার নির্দেশ অনুসারে প্রাথমিক সংযোজন শেষ করে আপনার ক্যামেরার সাথে পরিচিত হন। কোন বাটন কী কাজ করে ও কোন অপশনটি কোন মেনুতে গেলে পাবেন ইত্যাদি জেনে আপনার প্রিয়তম মানুষটির শট নিয়ে experiment শুরু করুন।
অটোমুডে ছবি তোলা
অটোমুড কমপাক্ট ক্যামেরার সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত অপশন।
১) ক্যামেরা অন করে অটো মুড নির্বাচন করুন।
২) দৃশ্যের গুরুত্বপূর্ণ বস্তু/ব্যক্তিকে ভিউফাইন্ডার/মনিটরের মাধ্যমে ফোকাস করুন।
৩) শাটার বাটনে অর্ধেক চাপ দিয়ে ধরে রাখুন। ক্যামেরা এখন আপনার নির্বাচিত দৃশ্যের ছবির জন্য এক্সপোজার সেটিং করবে। কম্পোজ ফ্রেমের রং সবুজে পরিবর্তন হলে শাটার বাটনের বাকী অর্ধেক চাপ দিন। ক্যামেরা ছবিটি উঠিয়ে মেমোরিতে সেভ করবে।
৫) ভিউ/প্লে অপশন নির্বাচন করে ছবিটি মনিটরে দেখতে পারেন।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন সময় ও অবস্থানের ছবির জন্য সরাসরি প্রি-প্রোগ্রাম SCAN মুড থেকে অপশন সিলেক্ট করতে পারেন, এতে ক্যামেরার জন্য কম্পোজ করা সহজ হয়।
ফটোগ্রাফির ১ম কথাঃ এক্সপোজার (Exposure)
ডিজিটাল ক্যামেরায় এক্সপোজ হওয়া মানে হলো সেনসরের উপর আলো পড়া। সেনসরের উপর আলো পড়া কন্ট্রোল করার কায়দাই এক্সপোজার কন্ট্রোল। কারেক্ট এক্সপোজার হলো একটা সাবজেক্ট থেকে যে আলো রিফ্লেক্ট করছে, ঠিক সেই আলোটাই সেনসরে ধারন করা।
এক্সপোজার হlলো অ্যাপারচার, শাটার স্পিড, আই.এস.ও -এই তিনটির কম্বিনেশন। এই তিনটি কমিয়ে/বাড়িয়ে ফটোতে কারেক্ট এক্সপোজারে আনতে পারবেন। মূল আলোটার চেয়ে বেশী লাইট চলে আসলে ছবিটা এট্টু সাদা বা "ওভার এক্সপোজ্ড" [Over Exposed] হবে। আর কম আলো সেনসরের উপর পরে তাহলে ছবিটা এট্টু অন্ধকার বা "আন্ডার এক্সপোজ্ড" [Under Exposed] হবে ।
এক্সপোজার কন্ট্রোল করা
১- অ্যাপারচার (Aperture), অ্যাপারচার হলো ছিদ্র। ক্যামেরার ভিতরে কি "পরিমান" আলো ঢুকবে সেটা অ্যাপারচার দিয়ে নিয়ন্ত্রন করা হয়। লেন্সের মধ্য দিয়ে আলো প্রবেশের নিয়ন্ত্রণের জন্য Iris Diaphragm বা গোল আকৃতির ছিদ্রকে Aperture ছোট/বড় করে। f/# সংখ্যা দিয়ে বিভিন্ন সাইজের এপারচার বোঝানো হয়। অ্যাপারচার ভ্যালু f/# যত বাড়বে, ছিদ্র ততো ছোট হবে ও ক্যামেরার ভিতরে ততো কম আলো ঢুকবে, আবার অ্যাপারচার ভ্যালু f/# যত কমবে ছিদ্র ততো বড় হবে ও ক্যামেরার ভিতরে তত বেশি আলো ঢুকবে। ক্যামেরায় লেন্সের ঠিক পরেই থাকে অ্যাপারচার কন্টোল।
ছবি-১ ২-
শাটার স্পিড (Shutter Speed)
শাটার হলো পরদা । লেন্স ও সেনসরের মাঝখানে আলো ঠেকানোর আবরণকে বলে শাটার। লেন্সের ভিতর দিয়ে অ্যাপারচাররে পাস করার পর আলো(Light) ক্যামেরার ভিতরে আসে, এখন আলো কতক্ষণ ক্যামরার ভিতরে ঢুকবে সেটা ঠিক করে দেয় শাটার স্পিড। পরদা অল্প সময় খুলে রাখলে আলো কম সময় ধরে ঢুকবে, আর পরদা বেশি সময় খুলে রাখলে আলো বেশি সময় ধরে ঢুকবে।হয়। ছবি তোলার সময় অর্থাৎ Shutter release button চাপার সাথে সাথে এই শাটার অল্পক্ষণের জন্য খুলে আবার বন্ধ হয়ে যায়। সাধারনত এই সময়টি এক সেকেন্ডেরও কম হয়, কিছু কিছু ক্ষেত্রে বেশিও হতে পারে। শাটার স্পিডের একক হলো সেকেন্ড। শাটার স্পিডকে 1/90, 1/125, 1/250, 1/500, 1/1000, 1/1500 সেকেন্ড হিসেবে প্রকাশ করা হয়। শাটার স্পিড 1/4 sec অর্থ আলোটা ১ সেকেন্ডের ৪ ভাগের এক ভাগ সময় ধরে ক্যামেরার সেনসরের উপর পড়বে। আবার শাটার স্পিড 4 sec অর্থ আলোটা ৪ সেকেন্ড ধরে ক্যামেরার সেনসরের উপর পড়বে। একটা ক্যামারায় শাটার স্পিডগুলা সাধারনত এইরকম থাকে : 1/8000 s 1/4000 s 1/2000 s 1/1000 s 1/500 s 1/250 s 1/125 s 1/60 s 1/30 s 1/15 s 1/8 s 1/4 s 1/2 s 1 s 2 s 4 s 8 s। রাতের ও দিনের ছবির জন্য Aperture ও Shutter Speed ভিন্ন রকমের হয়। একটা ব্যস্ত রাস্তায় আপনি যদি স্লো শাটার স্পিড দিয়া ফটো তোলেন তাহলে দেখবেন গাড়ি গুলোর হেড লাইট আর টেল লাইট একটা লম্বা শাদা আর লম্বা লাল রেখার মতো তৈরি করছে।
অনেকটা এইরম: ছবি-২
আবার শাটার স্পিড বাড়ায় ( 1/200 sec) কোন ঝরনার ছবি তুললে পানি স্থির মনে হবে। যেমন: ছবি-৩ ৩-
ISO (Sensitivity): "ISO" = International Standards Organisation। "আইএসও" টার্মটা ব্যবহার করা হয় ফিল্মের বা নেগেটিভের "লাইট সেনসিভিটি"র স্কেল হিসেবে। এটি হচ্ছে একটি মাপ, যা বলে দেয় CCD বা CMOS সেনসর কতখানি সংবেদনশীল বা আলোর স্পর্শে কত তাড়াতাড়ি রিয়্যাক্ট করবে। ISO হলো সেনসর কতটা Light Sensitive বা আলোক সংবেদী। বেশী আলোক সংবেদী হলে কম আলোতেই আলোর সাথে রিয়েকশন ঘটাতে পারবে। আর যদি কম আলোক সংবেদী হয় তাহলে রিয়েকশন ঘটাতে অনেক বেশি "পরিমান" আলো বেশি "সময়" ধরে ফেলা লাগবে। ক্যামারায় আলোর পরিমান অ্যাপারচার দিয়ে আর সময় শাটার স্পিড দিয়ে কন্ট্রোল করা হয়। অ্যাপারচার আর শাটার ক্যামেরাতে থাকলেও ISO জিনিষটা সেনসরের একটা প্রপার্টিজ। ISO ১০০ মানে কম আলোক সংবেদী আর ৮০০ মানে বেশী আলোক সংবেদী। ISO বাড়ানোর একটা ঝামেলা ISO যতো বাড়বে, ছবিতে grain বা noise ততো বেশি আসবে।
ইদানীং বেশিরভাগ ক্যামরায় Pre-programmed Exposure Mode সেটিং করা থাকে, সেখান থাকে সিলেক্ট করেও কাজ চালানো যায়। যেমন: Landscape, Portrait, Sunset, Beach/Snow, Backlight, Macro, Night Scene, Fireworks, Panorama, Sports ইত্যাদি। যত বেশি মুড থাকবে তত বেশি সুবিধা। আপনার তোলা ছবি দেখে একটু চিন্তা করেন, ছবিটা কি ওভার এক্সপোজ্ড না আন্ডার এক্সপোজ্ড না ওই সময় ওইখানে যে আলোটা ছিলো তাই আসছে? ছবি গুলা জুম করে দেখেন ছবিতে গ্রেইন বা নয়েজ আসছে কিনা। অটো মোডে তুললে ঠিক এক্সপোজার পাওয়ার জন্য, ক্যামেরা নিজে নিজেই আই.এস.ও হাই করে দেয়। তাই ছবিতে গ্রেইন বেশি আসে। ছবি তোলার সময় "লাইট মিটার" দিয়ে বুঝা যায় যে ছবিটা আন্ডার/ওভার এক্সপোজ্ড কিনা ? অনেক ক্যামেরাতেই বিল্ট ইন লাইট মিটার থাকে। লাইট মিটার একটা সিনের লাইট মাপলে এক্সপোজার দেখায়। শাটার বাটন অর্ধেক চাপ দিলে একটু এডভানস্ড ডিজিটাল কমপ্যাক্ট ক্যামেরায় ডিসপ্লেতে আলোর পরিমান দেখাবে ও ফোকাস করবে। মাইনাস "-" এর দিকে মানে ক্যামেরায় আলো কম ঢুকছে, আলো বেশি ঢুকাতে ১) এপারচারটা বড় করা মানে f এর ভ্যালু এক স্টপ কমান। ২) শাটার স্পিড কমিয়ে দেয়া। যদি 1/500 থাকে তাইলে 1/250 করা। শাটার স্পিড কমালে ছবি কেপে যেতে পারে। ৩) আই.এস.ও বারানো। iso 200 থাকেলে iso 400 করা, কিন্তু এতে নয়েজ বারবে। প্রয়োজন অনুসারে, কোনটা বাড়াতে বা কমাতে হবে। উদাহারন হিসাবে বলা যায়, কোন চলমান বস্তুর স্থির ছবি চাইলে যদি শাটার স্পিড কমিয়ে দেন তাহলে তো আর ফ্রিজ হইবো না। কমাতে হবে এপারচার ভ্যালু অথবা বাড়াতে হবে আই.এস.ও। কম্পোজিশন কম্পোজিশন মানে হলো সাজানো। আপনার মনের চোখ যা দেখে সেটা কিভাবে একটা ছবিতে দেখাবেন আর সে জন্য ছবির উপাদান গুলা কিভাবে সাজাবেন তাকে ফটোগ্রাফিতে বলে কম্পোজিশন। যেহেতু আপনার দেখার চেয়ে ক্যামেরা একটু ভিন্ন ভাবে দেখে, তাই কম্পোজিশনের টেকনিক জানা থাকলে, ক্যামেরাও আপনার মতোই দেখাতে পারবে। কম্পোজিশনের কয়েকটা নিয়ম
১- ছবির সাবজেক্ট ঠিক করা, কি তুলতে চান (ছবির সাবজেক্ট), সেইটা আগে ঠিক করুন তারপর দেখেন আপনার ক্যামেরা সেটা তোলার ক্ষমতা রাখে কিনা।
২- ফোকাল পয়েন্ট কে একা করে দিন (Isolate the Focal Point), সাবজেক্ট ঠিক করার পর তাকে ছবিতে সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন করে তুলতে চেষ্টা করুন। সেটা করতে সাবজেক্টকে ফোকাল পয়েন্টে রাখতে হবে। ফোকাল পয়েন্ট হচ্চে লেন্সের সামনের যেই পয়েন্ট থেকে আলো এসে লেন্সের পিছনে সবচেয়ে স্পষ্ট ইমেজ তৈরি করে। ফোকাল পয়েন্টে যা থাকবে, সেইটা ছবিতে সবচেয়ে বেশি শার্প হবে। অনেক সময় সাবজেক্টকে গুরুত্ব দেয়ার জন্য আশে পাশে বা সামনে পিছনে কিছু আনশার্প এলিমেন্ট রাখা হয়। ছবিতে অনেক বেশি ফোকাল পয়েন্ট থাকে অনেকেই কনফিউজড হয় যে আসলে ছবিটাতে কি বুঝানো হয়েছে। তাই ছবিতে ফোকাল পয়েন্ট যতটা সম্ভব কম রাখতে চেষ্টা করুন।
৩- রুল অফ থার্ডস, এটি ফটোগ্রাফির অন্যতম মুল্যবান একটা কম্পোজিশন রুল। ছবির ফ্রেমে "#" এই রকম চারটা লাইনের একটা গ্রিড চিন্তা করুন যা ছবিকে ৯টি অংশে ভাগ করে। লাইন গুলা যেখানে ক্রস করে সেইগুলাকে বলে "গোল্ডেন সেকশন"। আপনার সাবজেক্টকে ছবির মাঝখানে না রেখে গোল্ডেন সেকশন ৪টার যে কোন একটাতে রাখুন।

Face Detection, Blink detection, Smart Auto scene selection ইত্যাদি নতুন নতুন ফিচার নিয়ে নতুন মডেলের ক্যামেরা বাজারে আসছে, আসবে। তবে ভালো ছবির ব্যাপারে শেষ কথা হচ্ছে, ভালো ছবি শুধু ক্যামেরার জন্য হয় না, এর জন্য প্রয়োজন ক্যামেরার পিছনে একজন সৃজনশীল মানুষ। প্রাকটিস একজন মানুষকে দক্ষ করতে পারে। এজন্য ডিজিটাল ক্যামেরা পারফেক্ট। বিভিন্নভাবে এক্সপেরিমেন্ট করুন, ছবি ভালো না হলে ডিলিট করুন, অতিরিক্ত কোন খরচ নেই। আপনার ক্যামেরায় যেসব ফিচার/ফাংশন আছে সেগুলো সঠিকভাবে ব্যবহার করুন।

জুম
'জুম ইন' করার অর্থ দুরের বস্তুকে লেন্সের সাহায্যে বড়/কাছে দেখা। জুম দুই প্রকারের: অপটিক্যাল জুম ও ডিজিটাল জুম। অপটিক্যাল জুমে ক্যামেরা লেন্সের সাহায্যে বস্তুকে ছোটবড় করে এতে ছবির কোয়ালিটি অপরিবর্তিত থাকে। ডিজিটাল জুমের সাথে বস্তু বা লেন্সের কোন সম্পর্ক নেই, ডিজিটাল প্রসেসে ছবির কোন অংশকে বড় করে দেখানো হয় এবং ছবির কোয়ালিটি হ্রাস পায় ও ছবি ঝাপসা হয়ে যায়। সুতরাং ক্যমেরার ডিজিটাল জুম দেখে প্ররোচিত হবেন না, লক্ষ্য করবেন অপটিক্যাল জুম ক্ষমতা কত। যত বেশি অপটিক্যাল জুম থাকবে তত বেশি দুরত্বের ছবি তোলা যাবে।

ক্যমেরার লেন্সের ফোকাল লেন্থ থেকে অপটিক্যাল জুম জানা যায়। ফোকাল লেন্থ্ হচ্ছে লেন্স থেকে সেনসরের দুরত্ব। যেমন: 5.8-17.4mm, 35-105mm ইত্যাদি। শেষের সংখ্যাকে প্রথম সংখ্যা দিয়ে ভাগ করলে অপটিক্যাল জুম ক্ষমতা বের হয়। 105/35=3। অর্থাৎ 3X Optical Zoom।
ফোকাস রান্জ:
লেন্স কতদুরের এবং কত কাছের বস্তুর ছবি তুলতে পারে তা Focus Range দিয়ে প্রকাশ করা হয়। বেশির ভাগ ক্যামেরা অসীম (infinity) দুরত্বের বস্তুর ছবি তুলতে পারে। সুতরাং কত কাছের বস্তুর ছবি (Macro) তুলতে পারে সেটাই উল্লেখযোগ্য।
যেমন: 1.6 ft (0.5 m) to infinity (wide),
3.28 ft (1.0 m) to infinity (telephoto),
8 in. (0.2 m) (close-up) ইত্যাদি।

অটোফোকাস
ছবি তোলার সময় লেন্সকে জুম ইন বা জুম আউট করে অথবা নিজে ক্যামেরা নিয়ে বিভিন্ন দিকে মুভ করে ভিউফাইন্ডার/ডিসপ্লেতে দেখি কোন পজিশনে ছবিটি স্পস্ট আসে। এই কাজটি ক্যামেরার নিজে নিজেই করাকে অটোফোকাস বলে। ক্যামেরার শাটার বাটন অর্ধেক চাপলে ক্যামেরা নিজে নিজেই ফোকাস করে সম্ভাব্য সাবজেক্টকে স্পস্ট করে তোলে। সম্ভাব্য সাবজেক্ট স্পস্ট না আসলে কয়েক বার ক্যামেরার শাটার বাটন(ছবি তোলার বাটন) অর্ধেক চাপতে হবে বা একটু সরে দাড়াতে হবে।

হোয়াইট ব্যাল্যান্স:
অনেক সময়ই ছবির রং লালচে, সবুজাভ বা নীলচে হয়। ছবি থেকে অবাস্তব রঙের প্রভাব দুর করে বাস্তবসম্মত সাদা করার প্রসেসকে বলে হোয়াইট ব্যাল্যান্স।

ছবির রং ছবির আলোর উৎসের তাপমাত্রার উপর নির্ভর করে। মানুষের চোখ খুব সহজেই ব্যপারটা বুঝতে পারলেও ক্যামেরা অনেক সময়ই এটা ঠিক করতে পারে না। সাবজেক্ট ও ক্যামেরার ডিসপ্লের ছবির দিকে তাকালেই বুঝতে পারবেন যে হোয়াইট ব্যাল্যান্সের সমস্বা আছে কি না। হোয়াইট ব্যাল্যান্সের সমস্বা থাকলে ক্যামেরার মানু থেকে হোয়াইট ব্যাল্যান্স বা আলোর উৎস ঠিক করে দিলেই ছবির রং ঠিক হয়ে যাবে। হোয়াইট ব্যাল্যান্স .৩ করে -২ থেকে ২ পর্যন্ত হয়।

রঙের উৎসর তাপমাত্রা ====== আলোর উৎস
1000-2000 K ========== Candlelight
2500-3500 K ========== Tungsten Bulb (household variety) 3000-4000 K ========== Sunrise/Sunset (clear sky) 4000-5000 K ========== Fluorescent Lamps
5000-5500 K ========== Electronic Flash
5000-6500 K ======== Daylight with Clear Sky (sun overhead) 6500-8000 K ======== Moderately Overcast Sky 9000-10000 K ======= Shade or Heavily Overcast Sky


রেড আই রিডাকসন:
কমপ্যাক্ট ক্যামেরায় ফ্লাশ লাইট ও লেন্সের অবস্থান খুবই কাছাকাছি। পোট্রেট বা ক্লোজ আপ শট নেওয়ার সময় ফ্লাশ লাইটের আলো যখন চোখের রেটিনা থেকে প্রতিপলিত হয়ে সোজাসুজি লেন্সে চলে আসে তখনই মানুষ বা জীব-জন্তুর ছবিতে চোখের বর্ণে লাল হয়।

চোখের রেটিনা হল আয়নার মত শটের সময় ফ্লাশের আলো সামান্য কোণ সৃষ্টি করে লেন্সে ফিরে আসে। এই সমস্যাকে এড়ানোর জন্য Flash এর মেনু থেকে Red-Eye Reduction Flash Mode ব্যবহার করা হয়।

পাওয়ার সোর্স:
ডিজিটাল ক্যামেরার বহুমুখী ফাংশন ও এলসিডি ডিসপ্রের জন্য যথেষ্ট বিদুৎ প্রয়োজন। সুতরাং রিসার্জেবল ব্যাটারীর কোন বিকল্প নেই। সাধারণত ব্যাটারীর অপশন তিন রকমের হয়ে থাকে।
ক) Lithium Ion ব্যাটারী, এটি মোবাইল ফোনের মত ক্যামেরার সাথেই থাকে এবং ক্যামেরাসহ চার্জ করতে হয়। নতুন ব্যাটারীকে প্রথমবার ৮-১২ ঘন্টা চার্জে রেখে পূর্ণ চার্জ করা ভালো (ম্যানুয়েল দ্রষ্টব্য)। বিভিন্ন ক্যামেরার ব্যাটারীর সাইজ ও মডেল বিভিন্ন রকমের হয়। অনেকদিন ব্যবহারের পর ব্যাটারীর চার্জ বেশিক্ষণ থাকে না। যারা ক্যামেরা নিয়মিত ব্যবহার করেন সম্ভব হলে তাদের একটা রিজার্ভ ব্যাটারী কিনে নেয়া ভালো।
খ) সার্জারসহ Lithium Ion ব্যাটারী, সবকিছু উপরের মতই, শুধু পার্থক্য হচ্ছে আলাদা একটি চার্জার থাকে, ব্যাটারী ক্যামেরা থেকে বের করে এই চার্জারে রেখে চার্জ করতে হয়। সুবিধা হল, একটা এক্সট্রা ব্যাটারী কিনলে একটা স্ট্যান্ড বাই চার্জে রেখে আরেকটা দিয়ে ক্যামেরার কাজ চালানো যায়।
গ) Rechargeble AA NiMh (পেন্সিল ব্যাটারী)। এ অপশনে ব্যাটারী ও চার্জার আলাদাভাবে নিজেকে কিনতে হয়। ব্যাটারীর চার্জের ক্ষমতা mAh বিভিন্ন ধরনের হতে পারে।

ডিজিটাল ক্যামেরার সেনসরঃ
ইমেজ সেনসর একটি সিলিকন চীপ যা আলো সেন্স করতে এবং আলোকে ইলেকট্রিকাল সিগন্যালে রুপান্তর করতে পারে।"ইমেজ সেনসর" সাধারনত দুই ধরনের হয়। সি.সি.ডি (CCD = Charged Couple Device) আর সিমোস (CMOS = Complementary Metal Oxide Semiconductor)
সেনসর ডিজিটাল ক্যমেরার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও দামী ডিভাইস। এটি মিলিয়ন পিক্সেলের সমন্বয়ে গঠিত। আলো যখন লেন্সের মধ্য দিয়ে এসে এই সেনসরের ফটোএকটিভ লেয়ারে আঘাত করে তখন ঐ লেয়ারের নিচের পিক্সেলে একটি বৈদ্যুত্যিক চার্জ উৎপন্ন হয়। আলোর পরিমাণের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন পিক্সেলের বৈদ্যুত্যিক চার্জ বিভিন্ন রকমের হয়। এবং বৈদ্যুত্যিক চার্জগুলোর সমন্বয়ে সৃষ্টি হয় একটি ডিজিটাল ছবি।

পিক্সেল আর মেগাপিক্সেল
পিকচার এলিমেন্ট বা পিক্সেল হলো ছবির ইট। ইমেজ সেনসর আলোকে ইলেকট্রনিক সিগন্যালে রুপান্তরের পর ইমেজ প্রসেসর পিক্সেলের পরে পিক্সেল সাজিয়ে ছবি বানায়। ম্যাক্সিমাম কয়টা পিক্সেল ব্যবহার করতে পারবে সেটা নির্ভর করবো সেনসরের সাইজের উপর । এখন আপনের ক্যামেরায় একটা ১০ মেগা পিক্সেলের ছবি বানাতে সেনসরের দৈর্ঘ্য বরাবর ৩৮৭২টা পিক্সেল আর প্রস্থ বরাবর প্রতি কলামে ২৫৯২টা পিক্সেল। টোটাল পিক্সেল হবে ৩৮৭২x২৫৯২ = ১০০৩৬২২৪টা পিক্সেল বা ১০ মেগাপিক্সেল। কোন ডিজিটাল ক্যমেরার রেসুলেশন কত মেগাপিক্সেল তা দিয়ে ঐ ক্যামেরার সেনসরের ক্ষমতাকেই বুঝায়। যত বেশি মেগাপিক্সেল তত বড় প্রিন্ট আউট নেয়া যাবে ছবির মান অক্ষুন্ন রেখেই।
7"x5" ফটো কোয়ালিটি প্রিন্টের জন্য ৩ মেগাপিক্সেলই যথেষ্ট!

১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

ইসলাম নিয়ে পুরনো কিছু হাসির গল্প তবে কৌতুক নয়।

Most beautiful flower
১- জাহেল পীর
এক জাহেল পীরের মুরীদ বললো, হুযুর, গত রাত্রে আমি স্বপ্নে দেখেছি যেন আপনার হাত একঢি মধুর পাত্রে ড়ৃবানো রয়েছে আর আমার হাত একঢি পায়খানা ভর্তি পাত্রের মধ্যে ড়ূবানো আছে।
এতটূকূ বলা হতে না হতেই পীর সাহেব আনন্দের আতিশয্যে থাকতে না পেরে বলে উঠলো, হবে না? এইরূপই তো হবে! তূই যে ণ্ডনাহগার দুনিয়ার কূকূর তাই তোর হাত নাপাক পাত্রে ড়ূবানো থাকবে । আর আমি যে-বূষূর্গ আল্লাহ্বর ওলী তাই আমার হাত মধুর পাত্রে ড়ূবানো থাকে।
মূরীদ বললো, হুযুর বলা এখনও শেষ হয়নি তারপর দেখি আপনার হাতের আঙ্গুল আমি চাটছি, আর আমারু হাতের আঙ্গূল আপনি চাটছেন। এই শুনে পীর সাহেব রেগে মেগে মুরীদকে যা- ইচ্ছা তাই বলে গালাগালি করতে লাগলো।

২- জুতা চোর
শিয়া আলেমগন সুন্নি আলেমদের চ্যালেঞ্জ করেছেন। বিরাট বিতর্ক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হল। চারদিকে অসংখ্য শিয়া ও সুন্নী জনতা। কিন্তু কোন সুন্নি আলেমের দেখা নাই।
সুন্নী জনতা লজ্জায় মাথা নত করে রইলো। শিয়া আলেমগন একতরফা ভাবে নিজেদের বিজয়ী ঘোষনা করে অনুষ্ঠান শেষ করার উদ্যোগ নিলো।
এমন সময় দেখা গেল একজন লোক জনতার পেছন থেকে নীল লুঙ্গি, সাদা টুপি ও মার্কিন কোর্তা গায়ে দিয়ে মঞ্চের দিকে এগিয়া আসছেন। ইনিই মওলানা কাসেম(রঃ )। সবার দৃষ্টি মওলানা কাসেম(রঃ ) –এর দিকে। মওলানা সাহেব পায়ের জুতা বগলে চেপে রেখেছেন।
সবাই বললো, “হুজুর জুতা জোড়া এক পাশে রেখে দেন”।
মওলানা সাহেব বললেন “না, এখানে জুতা রাখা যাবে না। শিয়ারা জুতা চুরি করে।“
শিয়া আলেমগন অবাক ও উত্তেজিত হয়ে বললেন, “কোথায় দেখেছেন শিয়াদের জুতা চুরি করতে? কি প্রমান আছে আপনার কাছে?”
মওলানা সাহেবঃ কেন রাসুলুল্লাহ (সাঃ ) এর মজলিস থেকে একজন শিয়া ব্যক্তি জুতা চুরি করেছিলেন।
শিয়া আলেমগনঃ কি বলেন! রাসুলুল্লাহ (সাঃ ) এর যামানায় শিয়া মতবাদ চালুই হয় নাই, শিয়া ব্যক্তি আসবে কোথা থেকে? আপনি ইতিহাসের কিছু জানেন?
মওলানা সাহেবঃ মাফ করবেন, আমি ভুল বলেছি, রাসুলুল্লাহ (সাঃ ) এর যামানায় নয়, ছাহাবাদের যামানায়। ছাহাবারা তালিমে মশগুল ছিলেন এমন সময় একজন শিয়া ব্যক্তি তাদের জুতা চুরি করেছিলেন।
শিয়া আলেমগনঃ মিথ্যা কথা। ছাহাবাদের যামানায়ও শিয়া মতবাদ চালু হয় নাই। সেই সময় কোন শিয়া ছিলোনা।
মওলানা সাহেবঃ তাহলে এটি তাবেয়ীনদের যামানার ঘটনা।
শিয়া আলেমগনঃ অসম্ভব! তাবেয়ীনদের সময়ও কোন শিয়া ছিলোনা।
মওলানা সাহেবঃ তাহলে নিশ্চই ঘটনাটি তাবে-তাবেয়ীনদের যামানার।
শিয়া আলেমগনঃ ইতিহাস সাক্ষী যে এই চারটি যামানার কোনটিতেই শিয়া ছিলোনা। কারন শিয়া মতবাদ চালু হয়েছে এই চার যামানার অনেক পরে। সুতরাং শিয়াগন জুতা চুরি করতেই পারে না।
মওলানা সাহেবঃ এই চার যামানার কথা বললেন, এর সাথে আমাদের কি সম্পর্ক বলতে পারেন?
শিয়া আলেমগনঃ নিশ্চই বলতে পারি। এই চার যামানায় দেয়া ব্যাখ্যার ভিত্তিতেই আমরা মুসলমান। এর পরে দেয়া সব ব্যাখ্যাই বাতিল ও আবর্জনায় নিক্ষিপ্ত।
মওলানা সাহেবঃ কিন্তু একটু আগেই না আপনারা বললেন এই চার যামানায় কোন শিয়া ছিলোনা। তাহলে কি আপনারা সেই মতবাদ গ্রহন করেন নাই যা ওই চার যামানার পরে সৃষ্টি হয়েছে। আপনাদের মত অনুসারেই যা বাতিল ও আবর্জনায় নিক্ষিপ্ত?
শিয়া আলেমগন নির্বাক হয়ে গেলেন, তারা মাথা নিচু করে বসে রইলেন। এমন কি জনতাও স্তব্ধ হয়ে বসে রইলো।
মওলানা সাহেব বগল থেকে জুতা বাহির করে পায়ে দিলেন। বিনয়ের সাথে ধীর কিন্তু দৃঢ় পদক্ষেপে জলসা থেকে বের হয়ে গেলেন। তিনি অনেক দূর চলে গেলেন, তখনও শিয়া আলেমগন নির্বাক আর জনতা স্তব্ধ হয়ে বসে রইলো।

৩- আমাদের দেশের কিছু মুসলমান
দুই ব্যক্তি একঢি সফরে যাত্রা করেছিল । পখিমধ্যে দুইজনই ক্ষুধার্ত হয়ে পড়েছিলো। তখন তারা স্হির করলো রান্না করবে ।
একজন বললোঃ আমি বাজারে গিয়ে সওদা নিয়ে আসছি, তূমি ততক্ষণ জঙ্গল থেকে কিছু জালানি কূড়িয়ে নিয়ে এস ।
দ্বিতীয় জন বললো ঃ দোসত, তূমি জান না আমি এই বিরাট সফরের দ্বারা কতটা ক্লান্ত হয়ে পড়েছিা আমার পক্ষে এখন জ্বণিানি ফূড়ানো সম্ভব নয়।
প্রথম ব্যক্তি বেচারা নিজেই বাজার থেকে সওদা কিনে আনলো এবং নিজেই জঙ্গলে গিয়ে জ্বাণীনি কূড়িয়ে নিয়ে আসলো।
এরপর সে বললো: এবার ভাই তুমি আণ্ডন ধরাও, আমি চাউলণ্ডলি ধূই।
দ্বিতীয় ব্যক্তি বললোঃ এতটা ধৈর্য্য কোথায়? আমার শরীর একেবারেই ভেঙ্গে পড়েছে। প্রথম ব্যক্তি কাজ দুইঢি একাই করলো। এরপর বললোঃ আমি তরকারী কূটে নিচ্ছি, তূমি বসে বসে ভাতের হাঁড়িতে জাল দিতে থাক।
দ্বিতীয় ব্যক্তি বললোঃ বসে থাকা আমার পক্ষে মরণ।সফরে হেঁটে আমার পা দুইটা ব্যাথায় চুরমার হয়ে যাচ্ছে।
অতঃপর প্রথম ব্যক্তি ভাত-তরকারী সব একাই রান্না করে বললোঃ- এসো ভাই খাবার খেয়ে নেই।
তখন দ্বিতীয় ব্যক্তি বললোঃ অনেকক্ষণ থেকে তোমার সব কথাই অমান্য করে আসছি। আর কত অমান্য করা যায়? বার বার অমান্য করতে আমার লজ্জা লাগছো দাও অন্তত খাবারটা খেয়ে নেই ।

৪- সন্দেহ
সন্দেহ একটি মারাত্মক রোগ। এক মাদ্রাসার ছাত্রের সন্দেহ হল তার মাথা নাই। ব্যপারটা ততকালিন বিশিষ্ট শিক্ষক মওলানা মুহাম্মদ ঈয়াকুব (রঃ ) এর কানে গেল। তিনি ছাত্রটিকে জিজ্ঞাস করলেন “ তোমার মাথা নাই?”
ছাত্রটি উত্তর দিলো “জী না”। এই শুনে মওলানা সাহেব জুতা খুলে ছাত্রটির মাথায় মারতে লাগল।
ছাত্রটি চিতকার করতে লাগল, “মরে গেলাম, মরে গেলাম, খুব লাগছে”।
মওলানা সাহেব জিজ্ঞাস করলেন করলেন,"কোথায় লাগছে?”
ছাত্রটি উত্তর দিলো, "মাথায় লাগছে।“
মওলানা সাহেব বললেন, "মাথা তো নাই, ব্যথা লাগছে কেমনে?”
ছাত্রটি উত্তর দিলো, "মাথা আছে হুজুর, মাথা আছে।”
মওলানা সাহেব জিজ্ঞাস করলেন, "আর কোনদিন বলবা মাথা নাই?”
ছাত্রটি উত্তর দিলো, "না হজরত, না”।
তখন মওলানা সাহেব ছাত্রটিকে ছেরে দিলেন।
-তেমনি প্রমানিত হাদিস থেকে পাওয়া বিষয় নিয়ে সন্দেহ করা উচিত নয়। সেগুলোকে ঠিক মনে করে কাজ করতে হবে। বাকী আল্লাহ মাফ করনেওয়ালা।

৫- যাকাত
১- কেউ কেউ বলে “কোথাও জাকাত অর্থে ‘সম্পদের ১/৪০ ভাগ দান করা’ এবং কোথাও জাকাত অর্থে ‘পবিত্রতা অর্জন’; একই শব্দের পরস্পর অসামঞ্জস্য/অসংগত অনুবাদের উদ্দেশ্য কী”।
= আসলে দুই যাগাতেই জাকাত অর্থ এক, ‘পবিত্রতা অর্জন’, প্রথমটিতে ১/৪০ ভাগ দান করা বলতে সম্পদ পবিত্র করার পদ্ধতি বলা হচ্ছে।প্রথম ক্ষেত্রে জাকাত অর্জনের পদ্ধতি লিখেছেন, আর দ্বিতীয় ক্ষেত্রে জাকাত শব্দের আভিধানিক অর্থ লিখেছেন, তাই এই ভুল বোঝাবুঝি।
এই ‘পবিত্রতা অর্জন’ –কে ওযু করার সাথে তুলনা করা যায়।পরিষ্কার(পাক) শরিরে ওযু করলে পবিত্রতা অর্জিত হয়, অপরিষ্কার(নাপাক) শরিরে ওযু করলে পবিত্রতা অর্জিত হয়না বরং সারা শরির ধুতে হয়। সে রকম, আপনার হালাল সম্পদ থাককে তার ১/৪০ ভাগ দান করে(নবীজীর-শিক্ষা) তা পবিত্র করতে পারেন। আর আপনার সম্পদ হালাল না হয়ে থাকলে পবত্রতা অর্জন করতে হলে সারা শরির ধোয়ার মত পুরোটাই ত্যাগ করতে হবে। দেহ পবিত্র না হলে যেমন প্রার্থনা কবুল হয় না তেমন সম্পদ পবিত্র না হলেও প্রার্থনা কবুল হয় না।
২- কেউ কেউ আরও লিখেছেন “আর তাই বলে মাত্র ২৩ বৎসরের মধ্যেই আরব বেদুঈনদের মধ্যে সম্পদের ঘৃণ্য প্রতিযোগিতা স্তব্ধ হয়ে সমতা, ত্যাগ ও সেবার প্রতিযোগিতা প্রতিষ্ঠিত হয়;”।
=আপনাকে জানানো প্রয়োজন মনেকরছি যে নবীজীর অধিকাংশ বিশিষ্ট সাহাবি সুসভ্য আরব ছিলেন, খুব কম বিশিষ্ট সাহাবিই বেদুইন ছিলেন।
৩- কেউ কেউ আরও লিখেছেন তাদের ভেবে দেখা দরকার যে, ঐ ২.৫০% শতাংশ জাকাত দেয়ার পরে আমাদের মত পুনঃ ট্যাক্স দিত কিনা! যদি না দেয় তবে আমরা ক্রয় ট্যাক্স, বিক্রয় ট্যাক্স, সম্পত্তি ট্যাক্স, আয় ট্যাক্স, পথ ট্যাক্স, পানি-মাটি ট্যাক্স, নিকাহ ট্যাক্স ইত্যাদি নানা ধরণের (কথিত) জাকাত দিয়ে থাকি, যা একুনে ২.৫০% শতাংশের অনেক অনেক উর্ধে এবং যা বায়তুল মালেই জমা হয়।
=আপনাকে জানাতে চাই যে আপনি এই টেক্স মাগনা দেন না, এই টেক্সের বিনিময়ে আপনি রাষ্ট্রের কাছ থেকে সেবা পেয়ে থাকেন। এরকম টেক্স খলিফায়ে রাশেদিনের সময়ও চালু ছিলো। তারপরও সেইসময় জাকাত আদায়ের জন্য আলাদা ডিপার্টমান্ট ছিলো।